গবাদি পশুর টিকা প্রদান কর্মসূচি

গবাদি পশুর টিকা প্রদান কর্মসূচি

আসসালামু আলাইকুম,হ্যালো ভিজিটর আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে গবাদি পশুর টিকা প্রদান কর্মসূচী বিষয়ে আলোচনা করব।
     আমাদের দেশে কিছু মানুষ আবেগের বশে কৃষি কাজে আসে । কোন রকম তথ্য - উপাত্ত, অভিজ্ঞ্যতা ছাড়াই খামার প্রতিষ্ঠা করে ফেলে এবং খামার প্রতিষ্ঠার কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না । মানে না অভিজ্ঞদের পরামর্শ। যার ফল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান । খামার স্থাপনের আগে তার ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জেনে শুনে শুরু করলে, লাভের সম্ভবনা বেড়ে যায় ।
চিত্রঃ গবাদি পশুর টিকা-১

চিত্রঃ গবাদি পশুর টিকা- ২


গবাদি পশুকে রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত রাখতে হলে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যেমন কৃমি মুক্ত রাখা,ভাল বাসস্তান,সুষম খাবার,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি।গবাদিপশুর অনেক রোগ আছে এগুলো আক্রমন করলে চিকিৎসায় অনেক সময় ভাল সুফল পাওয়া যায় না বা চিকিৎসার আগেই পশু মারা যায়।
এ রোগ গুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সহযেই দমন করা যায়।আপনারা একটু সচেতন হয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ
করলে আপনারা যেমন লাভবান হবেন তেমনি পশু গুলোও সুস্থ থাকবে এবং খামারের উৎপাদন বাড়বে।

[ বিঃদ্রঃ] গরু বা মহিষ কে কোন টিকা দেওয়া না থাকলে ক্রয় করার ৭ দিন পর থেকে বিভিন্ন ধরনের টিকা ১৫ দিন পর পর দিতে হবে। নিম্নে বর্ণিত টিকা পশুকে প্রয়োগ করতে হয় যেমন- তড়কা, ক্ষুরা, বাদলা, গলাফুলা ইত্যাদি।
প্রকল্পের গরু ও মহিষ কে কমপক্ষে ২টি ভ্যাকসিন অবশ্যই করা উচিত। একটি হল তড়কা রোগ ও অপরটি হলো ক্ষুরা বা F.M.Dরোগের টিকা। কারণ তড়কা একটি মারাত্মক রোগ। তড়কা টিকা প্রদান না করলে যে কোন সময় পশু মারা যেতে পারে। এ রোগ হলে চিকিৎসার সুযোগ দেয় না। তড়কা রোগের ভ্যাকসিন ১ মিলি চামড়ার নীচে দিতে হবে বছরে একবার মাত্র।
এছাড়া ক্ষুরা F.M.D রোগ ও একটি মারাত্মক রোগ যদিও এ রোগে বড় পশু মারা যায় না তথাপি এ রোগে পশুর ওজন এত কমে যায় অর্থাৎ দুর্বল হয়ে পড়ে যে ৬ মাসে সেই পূর্বের অবস্থায় পশুর স্বাস্থ্য ফিরে আসে না এবং শরীরে ৬ মাস পর্যন্ত এ রোগের জীবাণু বসবাস করে। তাই তড়কা ভ্যাকসিন দেয়ার ১০-১৬ দিন পর F.M.D ভ্যাকসিন দিতে হবে। F.M.D ভ্যাকসিন বিভিন্ন স্ট্রেন মিশ্রণে হয় তাই প্রস্তত কারকের নির্দেশ মোতাবেক যেমন সরকারী মহাখালী পশু সম্পদ গবেষণাগার হতে তৈরি ভ্যাকসিন ১টি স্ট্রেন দ্বারা হলে ৩ সিসি ২টি স্ট্রেন দ্বারা তৈরি হলে ৬ সিসি চামড়ার নীচে দিতে হবে। এছাড়া F.M.D Vaccine বিদেশী হলে স্ট্রেন ও প্রস্ত্তত কারকের নির্দেশ মোতাবেক এটি সাধারণত ৫ সিসি বা ২ সিসি চামড়ার নীচে দিতে হয়। F.M.Dভ্যাকসিন প্রতি ৪ মাস পর পর দেওয়ার নিয়ম।
উল্লেখিত ২টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে গরু মোটাতাজাকরণের পশু সংক্রামক রোগের হাত হতে মোটামুটি রক্ষা পাবে। তবে সুযোগ থাকলে বাদলা ও গলাফুলা রোগের টিকা প্রয়োগ করতে হবে।


*** যে রোগ গুলো গবাদি পশুর সবচেয়ে বেশি হয় এবং শুধু মাত্র ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় সেগুলো হল--তড়কা,বাদলা,গলাফুলা//,গো বসন্ত,ক্ষুরা রোগ,জলাতঙ্ক, পি.পি.আর (ছাগলের)


*** [01] টিকার নাম: তড়কা টিকা (Anthrax) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ তড়কা রোগের টিকা (Anthrax)

*** [02] টিকার নাম: ক্ষুরা রোগ টিকা(মনো-ভ্যালেন্ট টিকা ) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ ক্ষুরা রোগ টিকা(মনো-ভ্যালেন্ট টিকা )

*** [03] টিকার নাম: ক্ষুরা রোগ টিকা(বাই-ভ্যালেন্ট টিকা ) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ ক্ষুরা রোগ টিকা(বাই-ভ্যালেন্ট টিকা )


*** [04] টিকার নাম: ক্ষুরা রোগ টিকা(ট্রাই-ভ্যালেন্ট টিকা ) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ ক্ষুরা রোগ টিকা(ট্রাই-ভ্যালেন্ট টিকা )


*** [05] টিকার নাম: বাদলা টিকা (BQ) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ বাদলা টিকা (BQ)


*** [06] টিকার নাম: গলাফুলা টিকা (HS) প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ গলাফুলা টিকা (HS)
চিত্রঃ গরুর ঘাড়ে চামড়ার নিচে টিকা দেওয়ার নমুনা-১

চিত্রঃ গরুর ঘাড়ে চামড়ার নিচে টিকা দেওয়ার নমুনা-২


*** [07] টিকার নাম: পি.পি.আর (P.P.R) টিকা প্রদানের নিয়ম***
চিত্রঃ পি.পি.আর (P.P.R) টিকা
চিত্রঃ ছাগলকে চামড়ার নিচে টিকা দেওয়ার নমুনা

 Copyright @ 2019

মন্তব্যসমূহ