বায়োসিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা কি ?

খামারের জন্য নোটিশঃ ১
কিশোরগঞ্জ হাঁস প্রজনন খামার এন্ড হ্যাচারী লি:
খামারের জন্য নোটিশঃ ২
কিশোরগঞ্জ হাঁস প্রজনন খামার এন্ড হ্যাচারী লি:
বায়োসিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা কি ?
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো ভিজিটর আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে বায়োসিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা কি এই বিষয়ে আলোচনা করব।

বায়াসিকিউরিটি বলতে বুঝায় গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ সহ অনান্য সকল গৃহে পালিত প্রাণিকে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও অন্যান্ন ভৌত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে প্রাণিকে মুক্ত রাখার সকল কার্যক্রম।

বায়োসিকিউরিটির বিবেচ্য বিষয় সমুহ কি কি...?
১ = খামার অথবা প্রাণির বাস স্থানের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
২ = খামারটি সম্ভব হলে আলো বাতাস চলাচল করে এমন উচু জায়গায় স্থাপন করতে হবে।
৩ = পঁচা ডোবা নালা এবং জলাবদ্ব স্থান থেকে দূরে খামার তৈরি করতে হবে।
৪ = খামারে বহিরাগত মানুষ ও প্রাণির প্রবেশ কঠোর ভাবে বন্ধ করতে হবে।
৫ = প্রাণির থাকার ঘর অবশ্যই আরাম দায়ক হতে হবে।
৬ = খাবার জন্য বিশুদ্ব এবং পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭ = বিশুদ্ব ও সুষম খাবার প্রদান করতে হবে।
৮ = বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৯ = প্রতিটি কক্ষের জন্য পৃথক খাবার পাত্র এবং অনান্য উপকরণ এর ব্যবস্থা করতে হবে।
১০ = খামার স্থাপনের জন্য এক খামার থেকে অন্য খামারের দূরত্ব ১০০-১৫০ ফিট হতে হবে।
১১ = রোগাক্রান্ত প্রাণিকে সকল সুস্থ প্রাণি থেকে পৃথক করে রাখতে হবে।
১২ = রোগাক্রান্ত প্রাণির থাকার বাসস্থান জিবানু নাশক দ্বারা জিবানু মুক্ত করতে হবে।
১৩ = মৃত প্রাণিকে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
উপরের ১৩ টি বিষয় গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ সহ অনান্য সকল গৃহে পালিত প্রাণির জন্যই প্রযেজ্য। তাই এই সব বিষয় মেনে চললে প্রাণিকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।

#আমরা যখন নতুন খামার করব বা পুরাতন খামারি তাদের অবশ্যই খামারের (হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল ইত্যাদি) জৈব_নিরাপত্তা মেনে চলা উচিত| জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে খামারের পশু-পাখির রোগবালাই কম হবে| 

#জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে কিছু জীবাণুনাশকে নাম ও ব্যবহার দেওয়া হল-

(১) ০.০০১℅ পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট
(২) ০.২-২.৫ টিনচার আয়োডিন
(৩) ১-২℅ বরিক এসিড
(৪) ২℅ সোডিয়াম বাই কার্বনেট
(৫) ৭০℅ এ্যালকোহল
(৬) ৪০℅ ফরমালডিহাইড
(৭) ১℅ টিমসেন, ইমসেন
(৮) ১-৫℅ ব্লিচিং পাউডার
(৯) ১℅ জেনশন ভায়োলেট
(১০) ১০℅ সেভলন, ডেটল
(১১) হাইড্রোজেন পার অক্সাইড
(১২) হেক্সিসল
(১৩) ভায়োডিন
(১৪) পভিসেপ
(১৫) স্পিরিট

জীবাণুনাশকের_ব্যবহারঃ-
১) ক্ষতস্থান ধৌতকরন এবং দূর্গন্ধ নাশের জন্য ব্যবহার করা হয়|
২) আক্রান্ত চোখ, মুখ, কান পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়|
৩) জরায়ু ও যৌণনালী ধৌত কাজে ব্যবহার করা হয়|
৪) পোল্ট্রি ফার্মে বা যেকোন লিটার, যন্ত্রপাতি, খাদ্যপাত্র, পানিপাত্র ইত্যাদি জীবাণু মুক্ত কাজে ব্যবহৃত হয়|
৫) পোল্ট্রি ফার্মের বা যেকোন মেঝে জীবাণু মুক্ত কাজে ব্যবহৃত হয় |

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন