পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বর্ষায় পোল্ট্রি খামারের বাড়তি যত্ন

ছবি
আষাঢ়ের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ সময় পোল্ট্রি খামারিদের নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। প্রাকৃতিক নিয়মেই সময়টাতে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয় বলে একটানা ও থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার হ্রাস-বৃদ্ধি, দেশের কোনো কোনো অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাত, কোথাও ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, কোথাও বা থেমে থেমে দীর্ঘদিন বৃষ্টির কারণে অনেক সময় সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হয়। এই অবস্থায় নিন্মোক্ত ব্যবস্থাগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলে খামারি উপকৃত হবে- চিত্রঃ বর্ষায় পোল্ট্রি খামারের বাড়তি যত্ন পোল্ট্রি খামারে করণীয়:  ১.পোল্ট্রি শেডের চারপাশে ৫ মিটার জায়গা অতিরিক্ত বাড়াতে হবে; ২. বাড়তি জায়গা ভালভাবে পরিস্কার এবং ঘাস ও ঝোপঝাড় মুক্ত রাখতে হবে; বাড়তি জায়গার উপরে ভালমত ছাউনি দিতে হবে; ৩. ছাদের যেকোনো ছিদ্র পূর্বেই সারিয়ে নিতে হবে; ৪. প্রয়োজনীয় পলিথিনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে যদি অতিরিক্ত ছাউনি দেওয়া না হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় সামনে ও পেছনে যেন চটের তৈরি আচ্ছাদন থাকে। বড় মুরগির ক্ষেত্রে বৃষ্টি না থাকলে তা উঠিয়ে

বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এভিয়ান ফ্লু

ছবি
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এভিয়ান ফ্লু ভাইরাসজনিত মুরগির একটি মারাত্বক সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগ। অতি তীব্র অবস্থা বা উচ্চ মৃত্যু হারের জন্য এ রোগকে মুরগির প্লেগও বলা হয়। জনপ্রিয় রচনায় রোগটিকে বার্ড ফ্লু বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। মুরগি, টার্কি, ফিজ্যান্ট, কোয়েল, হাঁস, রাজহাঁস, গিনিফাউল এবং আরও নানা জাতীয় পাখি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় বন্য জলচর পাখিরা এ ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে, তবে সাধারণত এরা এ রোগে আক্রান্ত হয়না। সকল বয়সের মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে বাচ্চা ও বাড়ন্ত মুরগি বেশি আক্রান্ত হয়। তাছাড়া, এটি একটি জুনোটিক ডিজিজ, যা মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এভিয়ান ফ্লু রোগটি ছড়ানোর কৌশল ক) দেশের ভিতরে : সাধারণত বন্য ও গৃহপালিত পাখি বিশেষ করে পানিতে বসবাস কারী পাখি ও হাঁস এ রোগের ভাইরাসের প্রধান বাহক । দেশী মুরগী হাঁস এবং অন্যান্য পাখি সহ বন্য ও জলজ পাখি খামারের আশে পাশে অবাধে বিচরণ করলে ভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে । খামারের যন্তপাতি , কর্মচারী বা খামারে আগত লোকজন , খাদ্য সরবরাহের গাড়ী , ভ্যান , রিকসা বা বাতাস প্

রানীক্ষেত রোগ/New Castle Disease

ছবি
রানীক্ষেত রোগ/New Castle Disease প্রচলিত নামঃ চুনা পায়খানা প্যারামিক্সো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রানীক্ষেত রোগ পোলট্রি খামারের সর্বাধিক ক্ষতিকর রোগগুলির অন্যতম। এ রোগে আক্রান্ত মোরগ বা মুরগী শ্বসন, পরিপাক ও স্নায়ুতান্ত্রিক রোগ লক্ষণ প্রকাশ করে। আমাদের দেশে শীত ও বসন্তকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।   প্রধানতঃ তিনটি ভিন্ন ধরনের ষ্ট্রেন যথাঃ অতি তীব্র ভ্যালোজেনিক মাঝারী তীব্র ম্যাসোজেনিক এবং অপেক্ষাকৃত মৃদু লেন্টোজেনিক ষ্ট্রেন দ্বারা রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণতঃ যে কোন বয়স বা জাতের মোরগ-মুরগীতে রানীক্ষেত রোগ হতে পারে, তবে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মোরগ-মুরগীতে এ রোগের সংক্রমন সহজে ঘটে। রোগটি যেভাবে ছড়ায়ঃ আক্রান্ত পাখির থুথু, লালা, সর্দি, কাশি, মলের মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগটির জীবাণু আক্রান্ত পাখি বা খামার থেকে পার্শ্ববর্তী সুস্থ্য পাখি বা খামারে বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। সাধারণত আক্রান্ত খামারের আসবাব, যন্ত্রপাতি, যানবাহন অথবা লোকজনের মাধ্যমে সুস্থ্য খামারের মুরগীতে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। চিত্রঃ রানীক্ষেত রোগ/New Castle Disease রানীক্